Friday, June 26, 2020

ডায়াবেটিস রোগীদের পরীক্ষিত খাদ্য তালিকা | প্রথম পর্বঃ

ডায়াবেটিস রোগীদের পরীক্ষিত খাদ্য তালিকা 
প্রথম পর্বঃ
👍মনে রাখবেন খাবারের অতিরিক্ত লোভ এবং আলস্য এ রোগ কে হাত ছানি দিয়ে ডেকে আনতে পারে ! ডায়াবেটিস (Diabetes) শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ Diabainein থেকে ।
🎗**** সর্বপ্রথম ১৪২৫ সালে Thomas Willis ডায়াবেটিস মেলিচীস সম্পর্কে মেডিক্যাল বইতে লেখেন। ১৭৭৬ সালে Mathew Dobson মূত্র এবং রক্তে সুগার খুজে পান। সুত্রঃ +++ (D) #3 = Diet, Drug and Discipline এই তিনটি শব্দ মনে রাখলেই আপনি প্রাথমিক পর্যায়ের ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে পারেন – তার পর ও সারা পৃথিবীতে ৩০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা আগামিতে প্রতি ৩/১ পরিবারে একজন রোগী থাকবেন । সে জন্য সকলের ভাল অভিজ্ঞতা থাকা অবশ্যই দরকার।
🎗ডায়াবেটিস দুই ধরনের রয়েছে।
👉একটা হলো ডায়াবেটিস মেলাইটাস ( সুগার বেশী হওয়া )
👉আরেকটা হলো ডায়াবেটিস ইন্সিপিডাস ( সুগার কমে যাওয়া )
👉 এ ছাড়া আরেক ধরনের ডায়াবেটিস আছে
যাকে Gestational Diabetes বলা হয় ( ইহা গর্ভবতি মায়েদের বেলায় হয় )
 ডায়াবেটিস মেলিটাস(Diabetes mellitus) একটি হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ। দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রোগ হয় তা হলো 'ডায়াবেটিস' বা 'বহুমূত্র রোগ'।
👉তখন রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্য দেখা দেয়।
👉ইনসুলিনের ঘাটতিই হল এ রোগের মূল কথা। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিন, যার সহায়তায় দেহের কোষগুলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে নিতে সমর্থ হয় এবং একে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে।
👉ইনসুলিন উৎপাদন বা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা-এর যেকোনো একটি বা দুটোই যদি না হয়, তাহলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর একে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা, দেহের টিস্যু ও যন্ত্র বিকল হতে থাকে।
💜💜 মানুষের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ সাধারণত ৩.৩ থেকে ৬.৯ মিলি.মোল/লি আর খাবার পর <৭.৮ মিলি.মোল/লি। কিন্তু যদি গ্লুকোজের পরিমাণ অভুক্ত অবস্থায় ৭ মিলি.মোল/লি আর খাবার পর >১১ মিলি.মোল/লি পাওয়া যায়, তবে তার ডায়াবেটিস আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
👉👉ডায়াবেটিস মেলাইটাস আবার দু'রকম হতে পারে।
যথাঃ টাইপ-১ বা ইনস্যুলিন নির্ভরশীল এবং
টাইপ-২ বা ইনস্যুলিন নিরপেক্ষ ডায়াবেটিস।
💢টাইপ-১
+টাইপ-১ বহুমূত্র হল অটোইমিউন রোগ। এ রোগে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
+ তাই যাদের টাইপ-১ হয়, এদের দেহে ইনসুলিন উৎপাদিত হয় খুবই কম।
+এ জন্য রোগীকে বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিন ইনজেকশন বা ইনসুলিন পাম্প নিতে হয়।
+ শিশু ও তরুণদের মধ্যে এ ধরনের বহুমূত্র হয় বেশি। +১০-৩০ বছরের মধ্যে দেখা দেয়।
+ ইহা মূলত জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। এর জন্য দায়ী হল HLADR 3 এবং HLADR 4 নামক দুটি জিন ।
💢টাইপ-১ কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
👉টাইপ-১-এ অটোইমিউনিটির জন্য বিটা কোষের ধংসের কারণে এই টাইপ-১-এ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে ।
👉টাইপ-১-বি এটিও বিটা কোষের ধংসের কারণে হয়ে থাকে, কিন্তু এর সঠিক কারণ জানা যায়নি ।
(১) রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় (>130 mg/100ml)।
(২) রক্তে ছিটোনো বডির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ।
(৩) মুত্রের মাধ্যমে গ্লুকোজের নির্গমন বা গ্লুকোসুরিযা হয়।
💢টাইপ-২
👉টাইপ-২ বহুমূত্র রোগের পেছনে থাকে মূলত ‘ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স’।
👉টাইপ-২ রোগীরা শরীরে যে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়, তাকে ব্যবহার করতে পারে না।
👉ব্যায়াম ও খাদ্যবিধির সাহায্যে একে প্রথমে মোকাবিলা করা হয়।
👉 তবে অনেক সময় প্রয়োজন হয় মুখে খাওয়ার ওষুধ, এমনকি ইনসুলিন ইনজেকশন।
👉৪০ বছর বা তারপরে এ ধরনের বহুমূত্র রোগ দেখা দেয়।
👉মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় পানীয় টাইপ-২ এর ঝুঁকি বাড়ায়।খাবারে চর্বির ধরনও গুরুত্বপূর্ণ;স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স-ফ্যাটি এসিড ঝুঁকি বাড়ায় পক্ষান্তরে পলি-আনস্যাচুরেটেড ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ঝুঁকি কমায়।
👉 অত্যধিক পরিমাণ সাদা ভাত খাওয়াও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
👉শারীরিক পরিশ্রম না করাও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের অন্যতম একটা কারণ।
👉বিশ্বজুড়ে ২৪৬ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগীর ৯০ শতাংশের বেশি হল টাইপ-২ ডায়াবেটিস।
🤔🤔দুই ধরনের ডায়াবেটিসই গুরুতর এবং হতে পারে শিশু ও তরুণদেরও। এ জন্য ডায়াবেটিসের বিপদ-চিহ্নগুলো জানা খুবই প্রয়োজন। ‘মৃদু ডায়াবেটিস’ বলে কিন্তু কিছু নেই।
💢সাধারণ লক্ষণাদি
👉ঘন ঘন প্রস্রাব। এ কারণে এ রোগটির নাম বহুমূত্র রোগ ;
👉অধিক তৃষ্ণা এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া ;
👉অতিশয় দুর্বলতা ;
👉সার্বক্ষণিক ক্ষুধা ;
👉স্বল্প সময়ে দেহের ওজন হ্রাস ;
👉চোখে ঝাপসা দেখা ;
👉ঘন ঘন সংক্রমণ।
💢রিস্ক ফ্যাক্টর
পরীক্ষা করে দেখা গেছে কিছু কিছু ব্যাপার ডায়াবেটিস তৈরিতে প্রভাব ফেলে।
👉১. যাদের বংশে মা-বাবা কিংবা রক্তসম্পর্কীয় নিকটাত্মীয়দের ডায়াবেটিস আছে।
👉২. যাদের শরীরের ওজন অনেক বেশি এবং যারা শারীরিক পরিশ্রম প্রায় করেনই না।
👉৩. যাদের দেহে উচ্চ রক্তচাপ এবং মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল আছে।
👉৪. যারা দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করেন।
💢বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন জটিলতা
👉অতিরিক্ত মেদ এ রোগের অন্যতম কারণ ;
👉উপসর্গহীনতা বা অসচেতনতার কারণে চিকিৎসার অভাব ;
👉কিডনি বা বৃক্কের অক্ষমতার অন্যতম মূল কারণ ডায়াবেটিস ;
👉অন্ধত্ব বা দৃষ্টিবিচ্যূতির অন্যতম মূল কারণ ডায়াবেটিস ;
👉বিনা দুর্ঘটনায় অঙ্গচ্ছেদের অন্যতম মূল কারণ ডায়াবেটিস।
👉ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সম্পাদনা
ইনসুলিন
👉অ্যান্টিডায়াবেটিক ঔষধ ( মুখে খাওয়ার ঔষধ )
Image may contain: one or more people, text that says '94 ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি'
Courtesy to Nutritionist & Homeopathist - Dr. Naela Siddika via মা ও শিশু স্বাস্থ্য @themomthekid
all are requested to join with our associated page at মা ও শিশু স্বাস্হ্য

No comments: