ডায়াবেটিস রোগীদের পরীক্ষিত খাদ্য তালিকা
দ্বিতীয় পর্বঃ
🌾🌾কি খাবার বেশি খাবেন🌾🌾
👉উপকারী চর্বি যেমন, বাদাম, অলিভ ওয়েল, মাছের তেল ইত্যাদি।
👉শাক সবজি ও ফলমূল– মূলত পরিষ্কার, টাটকা ও রঙিন শাকসবজি ভাল।
👉জুসের থেকে ফল বেশি খেতে হবে।
👉দেশজ মাছ ও মুরগি।
👉ভাল প্রোটিন জাতীয় খাবার– যেমন, ডিম, অল্প চর্বি জাতীয় দুধ, টক দই ইত্যাদি।
🌾🌾কি খবার কম খাবেন🌾🌾
👉ডিপ ফ্রাই খাবার বা অতিরিক্ত রান্না করা খাবার
👉প্যাকেটজাত ফাস্ট ফুড, বিশেষ করে যাতে চিনি, বেকিং করা খাবার, মিষ্টি, ডেজারট, চিপস ইত্যাদি থাকে।
👉সাদা পাউরুটি,
👉চিনিযুক্ত সেরিয়াল,
👉 প্রক্রিয়াজাত পাস্তা বা চাল
👉প্রক্রিয়াজাত মাছ বা মাংস
💢উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার ও স্লো রিলিজ কার্বোহাইড্রেট
🍚আমাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর বিশাল ভূমিকা রয়েছে, এটি শরীরের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, এমন কি এটির ভূমিকা চর্বি বা প্রোটিনের তুলনায় বেশি।
🍚সুতরাং কি ধরনের শর্করা জাতীয় খাবার খাচ্ছেন এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত।
🍔 প্রক্রিয়াজাতকরণ শর্করা যেমন, সাদা পাউরুটি, চিনিযুক্ত সেরিয়াল, প্রক্রিয়াজাত পাস্তা বা চাল ছাড়াও সোডা, মিষ্টি, প্যাকেটজাত খাবার যাতে চিনি যুক্ত থাকে ইত্যাদির ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
🤔মনযোগী হতে হবে স্লো রিলিজ কার্বোহাইড্রেট ও উচ্চ আঁশযুক্ত খাবারের প্রতি। এগুলো ধীরে ধীরে শরীরে রক্তের সাথে মিশে যা ধীরে ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে।
💢💢গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কি?
রক্তে শর্করার পরিমাপক হিসেবে এটি কাজ করে। শর্করার মাত্রা কি পরিমাণে বাড়ছে বা কমছে তা এর মাধ্যমে জানা যায় । বিভিন্ন খাবারে কি পরিমাণ শর্করা থাকে তা নিরূপণ করা হয় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স দ্বারা। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন হোন।
√ ডায়াবেটিক রোগীদের খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI )জানা জরুরী,
√ কম GI যুক্ত খাবারে এর মাত্রা থাকে ৫৫ এর কম, √মধ্যম GI যুক্ত খাবারে ৫৬–৬৯
√ উচ্চ GI যুক্ত খাবারে ৭০ এর বেশি,
🍜ডায়াবেটিক আক্রান্ত ব্যাক্তিদের কম GI যুক্ত খাবার খাওয়া আবশ্যক।
💢💢অবশ্য, সত্যিকার অর্থে– এ ব্যপারে এখন পর্যন্ত কোন সুন্দর ধারনা তৈরি হয়নি, দেখা যায় অনেকে কম জি আই ভুক্ত ওষুধ সেবন করছেন যা হয়ত আরো খারাপ কোন অবস্থার সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন রিসার্চে দেখা গেছে জি আই এর উপরে নির্ভর না করে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে দেয়া খাবারের তালিকা অনুযায়ী চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশি ভূমিকা রাখে।💢💢
🍱🍱আশ যুক্ত খাবার সনাক্তকরণ
👎কি পরিহার করবেন / 👍 কি খাবেন
সাদা চালের ভাত / বাদামি বা লাল চাল এর ভাত
গোল আলু– ভর্তা / মিষ্ট আলু, ফুলকপি
ভাজি ৷
রেগুলার পাস্তা / গমের পাস্তা,
সাদা পাউরুটি / গমের রুটি,লাল আটার রুটি
চিনিযুক্ত সেরিয়াল / উচ্চ আশ ও কম চিনি যুক্ত সেরিয়াল
ইনস্ট্যান্ট ওট মিল /গোল ওটস
করনফ্লেক্স /কম চিনি যুক্ত করনফ্লেক্স
ভুট্টা / সিম বা সবুজ শাক।
💥💥শর্করা জাতীয় খাবারে সাবধানী হোন–
ডায়াবেটিক খাবার মানে এই না যে এটি আপনার শরীরের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করবে বা নিঃস্বরন করবে। আপনি যদি ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে সাধারণ সকল শর্করা জাতীয় খাবার খেতে পারবেন, কিন্তু নিয়ম মাফিক ও পরিমিত আকারে।
যেমন–
√👍অল্প পরিমাণে দৈনিক খাবারের তালকায় চিনিযুক্ত খাবার রাখতে পারেন।
√👍খাবারের তালিকায় মিষ্টি থাকলে, সাদা পাউরুটি, ভাত বা পাস্তা খাবেন না। ডেজারট খেতে পারেন।
√👍অল্প পরিমাণে সুষম চর্বি সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারেন, চর্বি ধীরে ধীরে খাবার হজমে সাহায্য করে।
এ জাতীয় খাবারের মধ্যে পিনাট বাটার, পনির, টক দই বা বাদাম রাখতে পারেন।
√👍অন্যান্য সুষম খাবারের সাথে চিনি জাতীয় খাবার খান, শুধু মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ শুধু মিষ্টি খেলে এটি হটাত করে রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
♥♥খাবারকে উপভোগ করুন, যাই অল্প পরিমাণ মিষ্টি জাতীয় খাবার খান না কেন তার প্রতিটি বাইট কে উপভোগ করুন, পাশাপাশি লক্ষ্য রাখুন কি খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন ও কতবার খাচ্ছেন।❤❤
♠কিভাবে চিনি জাতীয় খাবার কমাবেন?
√√কোমল পানীয় ও জুস – প্রতিদিন এক বোতল ( ২৫০ মিলি) কোমল পানীয় বা জুস পানে রক্তের শর্করার মাত্রা প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। এর বদলে লেবুর শরবত বা কমলার রস পান করতে পারেন।
√√ চিনিযুক্ত দুধ চা এর বদলে চিনিহীন রঙ চা পান করতে পারেন।
♣♣সম্পৃক্ত চর্বি ও চিনি–
√√ আপনার দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রাখা সম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় খাবার, যেমন– সরযুক্ত দুধ এর বদলে চিনি সমৃদ্ধ খাবার পরিহার করুন।
√√ আমরা অনেকেই ভাবি দুধের বদলে মিষ্টি খাবার খেলে এর চাহিদা পূরণ হবে, কিন্তু এটি ভুল ধারনা।
√√দৈনিক এক গ্লাস দুধ শরীরের পুষ্টির চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করে।
♦প্রক্রিয়াজাত খাবার নির্বাচন– বাইরের প্যাকেটজাত খাবারের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন এর গায়ে শর্করার মাত্রা কত। কম শর্করাযুক্ত খাবার নির্বাচন করুন। বিশেষ করে চিপস, কোমল পানীয়, বিস্কিট ইত্যাদি। সবচে ভাল হয় ঘরে তৈরি করা খাবার গ্রহণ।
♦খাবারে চিনির বদলে ফ্লেভারকে গুরুত্বদান– খাবারে চিনির মাত্রা এক তৃতীয়াংশ বা চতুর্থাংশ কমিয়ে এনে এতে পুদিনা, ভ্যানিলা, জলপাই ইত্যাদি ফ্লেভার যুক্ত করুন।
♦অন্যভাবে খাবারে পূর্ণ স্বাদ উপভোগ করুন– যেমন আইসক্রিমের বদলে ফ্রোজেন কলা, কালো চকলেট ইত্যাদি।
♥♥চর্বি জাতীয় খাবার নির্বাচন–
চর্বি যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি রয়েছে এর অনেক গুন, তাই চর্বি যুক্ত খাবার নির্বাচনে সাবধানী হোন–
♠♠অস্বাস্থ্যকর চর্বি– সবচে খারাপ চর্বি হল এটি ( প্রক্রিয়াজাত ট্রান্স ফ্যাট) । প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবার , প্রাণীজ তেলে ভাজা খাবার এছাড়া– চিপস, বার্গার ইত্যাদি খোয়া থেকে বিরত থাকুন।
♥♥স্বাস্থ্যকর চর্বি– অসম্পৃক্ত চর্বি সবচেয়ে ভাল, এটির প্রধান উৎস হল মাছ ও উদ্ভিদ; যেমন– অলিভ অয়েল, বাদামের তেল ইত্যাদি। মাছের তেলে থাকে ওমেগা–৩ ফ্যাটি এসিড যা, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করার পাশাপাশি মগজ ও হৃদপিণ্ডকে সবল রাখে।
♠♥সম্পৃক্ত চর্বি– সাধারণত বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য, লাল মাংস, ট্রপিক্যাল তেল এর উৎস। এটি খাওয়া যেতে পারে , কিন্তু হিসেব করে।
♠♠কি ভাবে অস্বাস্থ্যকর চর্বি পরিহার করবেন?
√চিপস বা ক্র্যাকারস এর বদলে বাদাম বা বীজ জাতীয় খাবার খতে পারেন।
√সাধারণ বাটার বা মাখনের পরিবর্তে পিনাট বাটার বেশ ভাল।
√খাবার কড়া করে ভাজার পরিবর্তে হালকা তেলে ভাজি, সিদ্ধ খাবার বা সেকা খাবার খেতে পারেন।
√প্যাকেটজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন।
√লাল মাংসের ( যেমন– গরুর মাংস) বদলে চামড়াবিহিন মুরগির মাংস, মাছ, কুসম ছাড়া ডিম ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেতে পারেন।
√পাস্তা, সবজি ও সালাদে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
√স্যান্ডউইচ, বার্গার ইত্যাদির মাংসে থাকে অসম্পৃক্ত চর্বি, এগুলোতে মাংসের বদলে সবজি যোগ করলে খাবারে ভিন্নমাত্রা আসবে।
√পরিমিত দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ।
#ডায়াবেটিস রোগীর খাবারে শাকসবজির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। সারা বছরই এ দেশে নানা ধরনের শাকসবজি উৎপাদন হয়। প্রকৃতির এই নেয়ামতকে বিজ্ঞানসম্মত কাজে লাগিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ও প্রতিরোধ করা যায়। ডায়াবেটিস রোগীর সুবিধার জন্য শাকসবজিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
১। শর্করা সম্বলিত সবজি যেমন-
আলু,
মিষ্টি কুমড়া,
কাঁচা কলা,
বরবটি, থোড়,
মোচা,
বিট,
শিম,
মাটির নীচের কচু,
গাজর,
কাঁকরোল,
শিমের বিচি,
কাঁঠালের বিচি,
শালগম,
ইঁচড়,
ঢেঁড়স,
বেগুন,
মটর শুঁটি,
কচুরমুখী,
পাকা টমেটো।
২। শর্করাবিহীন শাকসবজি যেমন-
সব ধরনের শাক,
যেমন
লালশাক, পুঁইশাক,
পালংশাক, কলমিশাক,
ডাঁটাশাক, কচুশাক ইত্যাদি
সবজি
যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি,
মুলা, ওলকপি,
কাঁচা টমেটো, কাঁচা পেপে,
শসা, খিরা,
উচ্ছে, করলা,
ঝিঙা, চিচিঙা,
পটোল, লাউ,
চালকুমড়া, ডাঁটা,
সজনা, ধন্দুল,
ক্যাপসিকাম, কাঁচামরিচ,
মাশরুম ইত্যাদি।
উপরোক্ত শাকসবজিগুলো প্রতিটি মৌসুমেই কোনটা না কোনটা উৎপাদিত হয়।
ডায়াবেটিস রোগীর উচিত প্রতি দিন একই ধরনের শাকসবজি না খেয়ে পাঁচ মিশালী শাকসবজি খাওয়া।
এতে করে সব ধরনের শাকসবজির ভিটামিন মিনারেলস শরীরের কাজে লাগবে, খাবারে বৈচিত্র্য আসবে, পেট ভরবে, মনে পরিতৃপ্তি আসবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
♥নিয়মিত খাবার গ্রহণ ও খাবারের তালিকা প্রস্তুত
👉মজার ব্যাপার এই যে মাত্র ৭% শরীরের ওজন কমালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অর্ধেক কমে যায়। এর জন্য অতিমাত্রার সচেতনতার দরকার নেই।
👉শুধুমাত্র নিয়ম করে খাবার গ্রহণ ও কি খাচ্ছেন তার তালিকা প্রস্তুতি বা সচেতন হওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব।
🍳🍶দিনটি শুরু করুন সুসাস্থ্যকর নাস্তা দিয়ে– এটি সারাদিনের শক্তি যোগাবে পাশাপাশি রক্তের শর্করা নিয়মিত রাখবে।
💢 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ
🎗সকালের নাস্তা হিসেবে
২/৩ পিস লাল আটার রুটি,
১ টি সিদ্ধ ডিম
পরিমাণ মত সবজি ছাড়াও
১ কাপ দুধ যথেষ্ট।
🎗দুপুরের খাবার হিসেবে
১ কাপ ভাত,
১/২ কাপ সবজি ,
মাছ বা মাংস ১ পিস ও
পরিমাণ মত সালাদ যথেষ্ট।
🎗রাতের খাবার হিসেবে
২/৩ পিস রুটি,
১ কাপ সবজি ও
মাছ বা মুরগি ১ পিস যথেষ্ট।
🍜অল্প অল্প খাবার গ্রহণ– সরবোচ্চ ৬ বারের বেশি খাবেন না। এভাবে খাবার গ্রহণে সহজে হিসেব রাখতে সুবিধা হয়।
🍜ক্যলরি নিয়মিতকরন– নিয়মিত চাহিদানুযায়ি খাবার গ্রহণ করুন।
🍜কোন এক বেলার খাবার পরিহার করা থেকে বিরত থাকুন। ধরুন রাতে না খেয়ে পরেরদিন সকালে বেশি খেলেন, এটা কাম্য নয়। খাবার পরিহারে রক্তের শর্করার মাত্রার তারতম্য হয়।
📘খাবারের ডায়েরি
📖একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যারা খাবারের ডায়েরি তৈরি করেছেন, তাদের ওজন হ্রাসের হার, যারা করেন নি তাদের থেকে প্রায় দ্বিগুণ।
📖খাবারের ডায়েরি তৈরিকরণের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোন খাবারে আপনার ঘাটতি রয়েছে ও কোন খাবার বেশি খাওয়া হচ্ছে।
📖এভাবে আত্ম সচেতনতা তৈরি করে নিজেই খাবারের তালিকা প্রস্তুত করতে পারেন।
🚸কর্মমুখর হোক প্রতিদিন – সকালটি শুরু হোক ব্যায়ামের দ্বারা।
🚸৩০ মিনিট করে জোরে হাটা বা ১০ মিনিট বিরতিতে মোট ৩০ মিনিট হাটা শরীরের ইনসুলিন এর কর্মপ্রক্রিয়া অনেক বাড়িয়ে দেয়।
🚸হাঁটাহাঁটি ছাড়াও, ব্যায়াম, সাতার, সাইকেল চালানো, দড়ি লাফ ইত্যাদি মধ্যম মাত্রার কায়িক শ্রমের মাধ্যমে রক্তের শর্করার মাত্রা থাকে সহনীয় পর্যায়ে।
👉সুতরাং, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শর্করা সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি চর্বি ও আমিষ জাতীয় খাবারে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে,
👉একটি সুন্দর খাবারের তালকা প্রস্তুতি বা ডায়েরির মাধ্যমে কি খাচ্ছেন তার তালিকা তৈরির মাধ্যমে তা লিপিবদ্ধ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত নিয়ম মাফিক ব্যায়ামের মাধ্যমে যে কেউ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বা ডায়াবেটিস এর মাত্রা বহুলাংশে কমিয়ে আনতে পারেন।
💜💜জীবনধারার পরিবর্তন: নিয়মিত ব্যায়াম, খাদ্য গ্রহণে সচেতনতা, অসুখ সম্বন্ধে রোগীর প্রয়োজনীয় ধারণা।
🎀প্রতিকার
🎗শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যাবশ্যক।
🎗 খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করে চলতে হবে।
🎗সেই সাথে ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
🎗ফলে রক্ত চলাচল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বেড়ে যায়।
🎗সঠিকভাবে জীবনযাপন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
🎗 তবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ঔষধ এবং ক্ষেত্রবিশেষে ইনসুলিন ইনজেকশন ব্যবহার করতে হয়।
🎀প্রতিরোধ
🎗ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ওজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 🎗ওজন বেশি থাকলে তা খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে কমানো আবশ্যক।
🎗চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
🎗 আঁশ যুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে। 🎗একটি খাদ্যতালিকা মেনে চললে সব থেকে ভালো হয়।
🎗কোনো ব্যক্তি যদি ইনসুলিন কিংবা অন্যান্য ঔষধ নিয়মিত গ্রহণ করতে থাকে, তাহলে খাবার নিয়মিত খেতে হবে। কেননা কোনো বেলার খাবার বাদ দিলে তার প্রতিক্রিয়া মারাত্মক হতে পারে।
💢💢সুষ্ঠু এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। বর্তমানে ডায়াবেটিস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এজন্য সবার মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। কারণ সচেতনতাই পারে আমাদের এই বিভীষিকা থেকে দূরে রাখতে।💢💢
🚸❤🚸প্রি-ডায়াবেটিক থেকে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে পরবর্তী দশ বছরের মধ্যে। তবে আমার কথা হলো কিছু অভ্যাস এবং জীবন প্রণালীর পরিবর্তন করে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেওয়া যায়। যেমন-
🎗১. শরীরের সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণ-প্রত্যেকটি মানুষের নারী ও পুরুষভেদে উচ্চতা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ওজনসীমা থাকে। যা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। কম ক্যালরিসম্পন্ন সুষম খাবার গ্রহণ করে সবাই নিজের ওজনসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
🎗২. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন- শর্করা, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, আলু, চিনি ইত্যাদি খাবার যতটা সম্ভব কম আহার করুন। পেট ভরে সবুজ শাক সবজি ও সালাদ আহার করলে রক্তের সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। যেকোনো মাংসের চেয়ে মাছ বেছে নিন আপনার খাদ্যতালিকায়।
🎗৩. নিয়মিত হাঁটুন-ফিনিস একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব লোক বেশি ব্যায়াম করেছেন, সপ্তাহে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বা দিনে ৩৫ মিনিট, তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে গেছে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। ব্যায়াম বা হাঁটা খুবই স্বাস্থ্যকর। কারণ এতে ইনসুলিনের রিসেপ্টর সংখ্যা বাড়ে। এই ইনসুলিন রক্তের সুগারকে কোষের ভেতর ঢুকতে সাহায্য করে এবং শরীরে সুগার বা গ্লুকোজ দহন করে পায় শক্তি ও পুষ্টি।
🎗৪. ফাস্টফুড পরিহার করুন-যারা নিয়মিত ফাস্টফুড গ্রহণ করেন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। কারণ ফাস্টফুডে আছে অস্বাস্থ্যকর ট্রান্সফ্যাট এবং প্রচুর সুগার (শর্করা)।
🎗৫. মসলাযুক্ত খাবার খান-জার্মান গবেষকগণ বলেছেন, ১ গ্রাম দারুচিনি খাবার খেলে রক্তের সুগার কমে ১০ শতাংশ। এই মসলাটি রক্তের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।
🎗৬. দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন- যে কোন ধরনের দুশ্চিন্তা রক্তের সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই চেষ্টা করুন চাপহীন জীবন কাটাতে। পরিবারের সাথে সময় কাটান, ভালো থাকুন।
Image may contain: one or more people, text that says '94 ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি'
A courtesy post by Nutritionist & Homeopathist - Dr. Naela Siddika
Image may contain: one or more people, text that says '94 ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি'
A courtesy post by Nutritionist & Homeopathist - Dr. Naela Siddika
No comments:
Post a Comment